নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার

নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার

নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার


আজকের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়সূচি (ঢাকা)

তারিখ সেহরি ফজর সূর্যোদয় যোহর আসর মাগরিব ও
ইফতার
ইশা

ক) অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ঢাকার সময়ের সাথে যোগ বিয়োগের মাধ্যমে সেহরী, সুর্যোদয়, মধ্যাহ্ন, আছর ও মাগরিবের সময় নির্ধারণ করা গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে যোগ বিয়োগের পরিমাণ কিছুটা কম-বেশী হতে পারে৷ বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের আছরের সময় ঢাকার সময় থেকে যোগের পরিবর্তে বিয়োগ করতে হতে পারে। (বিস্তারিত জানার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বিভাগওয়ারী “নামাযের স্থায়ী সময়সূচী” পুস্তকটি দেখা যেতে পারে)

খ) মধ্যাহ্ন বলিতে সূর্য ঠিক মধ্য আকাশে বুঝাইবে ৷ এই অবস্থার স্থায়িত্ব ৩(তিন) মিনিটের বেশী নয়৷ তবে সতর্কতা হিসেবে যোহরের জন্য লিখিত সময়ের ৬ মিনিট আগে থেকে নামায পড়বেন না।

গ) এই সময়সূচীতে ফজর, যোহর ও মাগরিবের নামাযের প্রকৃত সময়ের সাথে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৩ (তিন) মিনিট যোগ করা হয়েছে। এই কারণে সাহরীর শেষ সময় প্রকৃত সময়ের কমপক্ষে তিন মিনিট পূর্বে এবং ফজর নামাযের সময় সুবহে সাদিকের তিন মিনিট পর নির্ধারণ করা হয়েছে৷

ঘ) ইসলামী শরীয়তে তিন সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে-

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন শরীফের ৮২ জায়গায় নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। তারপরেও অনেক মুসলমান নর-নারী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সঠিক সময়ে আদায় করতে পারে না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ও সফরে থাকা অবস্থায় নামাজের সঠিক সময় জানা খুবই প্রয়োজন। তাই আপনাদের সকলের সুবিধার্থে নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার নিয়ে হাজির হয়েছে। কারণ অনেকেই আছি যারা সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করি না। যার ফলে সেই ওয়াক্তের নামাজ কাযা করে ফেলি।


এই কারণেই নামাযের সঠিক সময়টা জানতে হবে, কোন নামাজের ওয়াক্ত কখন থেকে শুরু। এটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে নামাজে চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করার সময় জানতে পারবেন। অথ্যাৎ নামাজে ওয়াক্ত কখন শুরু হয়েছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার । এই নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার থেকে আপনরা সারা বছরের নামাজের সময়সূচি রোজার সময়সূচি ও সূর্যোদয়ের সময় জানতে পারবেন।


পবিত্র রমজান মাসে আমরা যদি সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সময় জানতে না পারি, তাহলে আমাদের রোজা রাখা ও ইফতারি করা অনেক ঝামেলার হবে। তাই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি কখন থেকে শুরু হয়েছে বা হবে সেটা সম্পূর্ণ ভাবে জানতে পারবেন নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার থেকে। এছাড়াও কখন মাগরীব ও ইফতারি সময় সেটাও খুব সহজেই জানতে পারবেন। তবে অন্য সকল নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার থেকে এটা একটু ভিন্ন ভাবে তৈরী করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটারে দেখবেন। আপনার কম্পিউটারে যে মাস থাকবে অটোমেটিক ভাবে সেই মাসের ক্যালেন্ডার আগে দেখা যাবে।

ওজু ভঙ্গের কারণ সমূহঃ

ওজু ভঙ্গ অথবা ওজু নষ্ট হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে। মুসলিম শরিয়তে যখন কোনো ব্যক্তি ওজু করেন, তখন তা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে করতে হয় এবং কিছু শারীরিক পরিবর্তন বা কার্যক্রমের মাধ্যমে সেই ওজু নষ্ট হয়ে যায়। নিচে ওজু ভঙ্গ বা নষ্ট হওয়ার কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:

শৌচাগারে গমন: পায়খানা বা প্রসাব করা হলে ওজু নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ, পেটের যেকোন সমস্যার কারণে পায়খান হলে ওজু ভেঙে যাবে। ঘুমানো: ঘুমের কারণে যখন শরীরের সচেতনতা হারিয়ে যায়, তখনও ওজু ভেঙে যায়। কোনো কারণে যদি শরীর পুরোপুরি অচেতন হয়, তবে ওজু নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থ্যাৎ আপনি ঘুমানের পরে সম্পূর্ণ ভাবে অচেতন এবং আপনি যে ওজু করেছেন তা মোটেও আপনার মনে নেই এবং আপনি কোথায়ও হেলায় দিয়ে ঘুমিয়ে অচেতন অবস্থায় আছেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে পূনরায় ওজু করতে হবে।

রক্তপাত বা পুঁজ বের হওয়া: যদি শরীর থেকে রক্ত, পুঁজ বা অন্য কিছু বের হয়, যেমন নাক বা কান দিয়ে রক্ত বের হওয়া, তাও ওজু নষ্ট করে। এছাড়াও ধাড়ালো কোনো বস্থু দিয়ে কিছু কাটতে যেয়ে যদি রক্ত বের হয় এবং আপনার শরীরে কোন জায়গায় ঘা আছে,তা থেকে যদি পুচ বের হয় তাহলেও ওজু ভেঙ্গে যাবে।

হাস্য-ব্যঙ্গ বা হেসে ফেললে (মজার কারণে): মজা করা, অতিরিক্ত হাসা বা উপহাস করা, এসবও এক ধরনের মনোযোগ হারানোর মধ্যে পড়ে এবং এই কারণে ওজু ভেঙে যেতে পারে। ওজু করার পরে আপনি যদি উচ্চস্বরে হাসেন তাহলেও আপনার ওজু ভেঙ্গে যাবে। মনোযোগ হারানো (বেপরোয়াভাবে চিন্তা করা): যদি ব্যক্তি একেবারে বিভ্রান্ত হয়ে যান এবং একাধিক বিষয় নিয়ে ভাবেন, তাহলে সেটা মনোযোগের অভাব সৃষ্টি করে এবং তা ওজু ভাঙার কারণ হতে পারে।

শরীরের অঙ্গ স্পর্শ করা: কোনো পুরুষ বা নারী যদি তাদের সহকর্মীকে স্নেহ করতে বা শারীরিকভাবে স্পর্শ করেন, সেটা ওজু ভেঙে দিতে পারে। অনেক সময় ওজু করার পরে স্বামী-স্ত্রী উত্তেজনা বসত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন, তাহলেও ওজু ভেঙ্গে যাবে। মাথা, গলা বা পেট স্পর্শ করা: যদি শরীরের কোনো অংশ স্পর্শ হয়, বিশেষত মাথা বা গলা স্পর্শ করা, তা ওজু ভাঙার কারণ হতে পারে। এছাড়া, অনেক ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়া, বিশেষ করে মদ্যপান, খাদ্যাভ্যাস এবং অন্য কিছু কর্মও ওজু ভেঙে দিতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.
.