রমজান ২০২৬ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

রমজান ১৪৪৭ হিজরী / ২০২৬ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি - ঢাকা

রমজান ১৪৪৭ হিজরী / ২০২৬ সালের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

ঢাকা, বাংলাদেশ

আজ সেহরি ও ইফতারের সময়(২৬ অক্টোবর ২০২৫)

সেহরি শেষ সময়: ০৪:৪২ AM

ইফতার: ০৫:২৭ PM

S.No রমজান সেহরি শেষ সময় ইফতার তারিখ
1রমজান ১05:14 am05:55 pm19 Feb 2026
2রমজান ২05:13 am05:56 pm20 Feb 2026
3রমজান ৩05:12 am05:56 pm21 Feb 2026
4রমজান ৪05:11 am05:57 pm22 Feb 2026
5রমজান ৫05:10 am05:58 pm23 Feb 2026
6রমজান ৬05:09 am05:58 pm24 Feb 2026
7রমজান ৭05:08 am05:59 pm25 Feb 2026
8রমজান ৮05:07 am05:59 pm26 Feb 2026
9রমজান ৯05:06 am06:00 pm27 Feb 2026
10রমজান ১০05:05 am06:01 pm28 Feb 2026
11রমজান ১১05:04 am06:01 pm01 Mar 2026
12রমজান ১২05:03 am06:02 pm02 Mar 2026
13রমজান ১৩05:02 am06:03 pm03 Mar 2026
14রমজান ১৪05:01 am06:03 pm04 Mar 2026
15রমজান ১৫05:00 am06:04 pm05 Mar 2026
16রমজান ১৬04:59 am06:04 pm06 Mar 2026
17রমজান ১৭04:58 am06:05 pm07 Mar 2026
18রমজান ১৮04:57 am06:05 pm08 Mar 2026
19রমজান ১৯04:56 am06:06 pm09 Mar 2026
20রমজান ২০04:55 am06:07 pm10 Mar 2026
21রমজান ২১04:54 am06:07 pm11 Mar 2026
22রমজান ২২04:53 am06:08 pm12 Mar 2026
23রমজান ২৩04:52 am06:08 pm13 Mar 2026
24রমজান ২৪04:51 am06:09 pm14 Mar 2026
25রমজান ২৫04:50 am06:09 pm15 Mar 2026
26রমজান ২৬04:49 am06:10 pm16 Mar 2026
27রমজান ২৭04:48 am06:11 pm17 Mar 2026
28রমজান ২৮04:47 am06:11 pm18 Mar 2026
29রমজান ২৯04:46 am06:12 pm19 Mar 2026
30রমজান ৩০04:45 am06:13 pm20 Mar 2026

🕌 সময়সূচি আনুমানিক, চাঁদ দেখা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের ঘোষণার ভিত্তিতে পরিবর্তন হতে পারে।

📍 ঢাকা সময়ের সাথে অন্যান্য জেলার পার্থক্য

রমজান মাসের পূর্ণাঙ্গ বিশদ বিবরণ

রমজান মাস ইসলামের নবম হিজরী মাস, যা মুসলমানদের জন্য এক অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত মাস হিসেবে স্বীকৃত। এ মাসটি মুসলিমদের জন্য আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য, সাধনা, এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক অনন্য সুযোগ হিসেবে বিবেচিত। রমজান মাসের শুরু চাঁদ দেখা অনুযায়ী হয় এবং এটি এক মাসব্যাপী চলে। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরিফ অবতীর্ণ করেছেন, যা রমজান মাসের বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতকে আরও বৃদ্ধি করেছে। ইসলামের প্রায় সকল বড় ধর্মীয় কর্তব্যের সঙ্গে রমজান মাসের সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষত রোজা, নামাজ, দান, এবং নৈতিক শুদ্ধতার সঙ্গে। এই মাসে সৎকর্ম, দান-খয়রাত, কোরআন তিলাওয়াত, তাওবা ও ইবাদতের মাধ্যমে একজন মুসলিম তার আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতি অর্জন করতে পারে। রমজান মাস শুধু রোজা রাখার মাস নয়, বরং এটি ধৈর্য্য, আত্মসংযম, ও মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাস।

রমজান মাসের ফজিলত অসীম। নবি করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমান ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ মাফ হয়ে যাবে। এই মাসে রোজা রাখা মানে শুধু খাদ্য ও পানির উপবাস নয়, বরং মনের খারাপ আচরণ, মন্দ চিন্তা ও অশ্লীল কথাবার্তা থেকেও বিরত থাকা।” রমজান মাসে রোজা রাখা মানুষকে ধৈর্য্য, সহনশীলতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ শেখায়। এটি এক ধরনের আত্মসংযম যা মানুষের শরীর ও মনকে স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত রাখে। এই মাসে রাতের নামাজ, বিশেষ করে তারাবিহ ও তহাজ্জুদ, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরআন তিলাওয়াত করা এবং তার অর্থ বোঝা এ মাসে প্রতিদিনের ইবাদতের অংশ হওয়া উচিৎ।

রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। সেহরি সময়ে যথাযথভাবে খাদ্য গ্রহণ করা রোজাদারের শক্তি বজায় রাখে এবং দিনের উপবাস সঠিকভাবে পালন সম্ভব হয়। ইসলামি শিক্ষায় বলা হয়েছে যে, সেহরির খাবার নেয়া বরকতপূর্ণ, এবং এটি রোজাদারের জন্য দেহ ও আত্মার শক্তি যোগ করে। ইফতার সময়ে দোয়া পড়া, বিশেষ করে "আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াক্কাল্তু" বাৎসরিক নিয়ম মেনে ইফতার করা মুসলমানদের মধ্যে এক ধরণের ঐক্যবোধ এবং সামাজিক সংহতি তৈরি করে। এছাড়াও দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জন্য ইফতার দেওয়া বিশেষ সওয়াবযুক্ত কাজ।

রমজান মাসের নৈতিক এবং সামাজিক দিকও গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে মানুষকে অহিংসা, সততা, পরোপকারিতা এবং ধৈর্য্যের শিক্ষা দেয়া হয়। মানুষকে অনুপ্রাণিত করা হয় গরীব, অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তা করতে। মুসলিম সমাজে এই মাসে সামাজিক সমবায় এবং মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও এই মাসে সকল প্রকার অশ্লীল, মিথ্যা, ও হিংসাত্মক আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রমজান মাসে কেবল ব্যক্তিগত নৈতিকতা নয়, বরং সামাজিক নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধও উন্নত হয়।

রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি, যা রমজান মাসে পালন করা বাধ্যতামূলক। রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আত্মশুদ্ধি। রোজা রাখার সময় খাদ্য ও পানির উপবাস করা ছাড়াও, মনের খারাপ অভ্যাস, অপকর্ম, ও কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। রোজাদারের জন্য সহনশীলতা, সহানুভূতি, এবং কণ্ঠস্বর ও আচরণে সদাচার পালন করা বিশেষভাবে প্রয়োজন। রমজান মাসে রোজা মানুষের শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রিত রাখে এবং মানুষকে আল্লাহর প্রতি আরও নৈকট্যপূর্ণ করে তোলে।

কোরআন তিলাওয়াত রমজান মাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে, কোরআন হল মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক। প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করা এবং তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করা মুসলমানদের জন্য এক অসাধারণ আধ্যাত্মিক প্রশান্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। বিশেষ করে রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে লাইলাতুল কদর থাকে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতের ইবাদত হাজার বছরের সমতুল্য সওয়াব প্রদান করে। তাই মুসলিমদের উচিত এই রাতগুলোতে বিশেষভাবে ইবাদত বৃদ্ধি করা, কোরআন পড়া, দোয়া করা এবং তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন।

রমজান মাসে দান-খয়রাত এবং জাকাত প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দরিদ্র, অভাবী এবং অসহায় মানুষের সহায়তা করা এই মাসের বিশেষ দায়িত্ব। এই কাজ শুধু সামাজিক সহমর্মিতা বৃদ্ধি করে না, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। মুসলিম সমাজে রমজান মাসে এই দান-খয়রাতের মাধ্যমে সামাজিক সমবায় এবং মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পায়। এই মাসে যে দান করা হয়, তা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক গুণ বেশি সওয়াব প্রদান করে।

রমজান মাসে রাতের নামাজ, বিশেষ করে তারাবিহ ও তহাজ্জুদ নামাজ, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক অনন্য উপায়। প্রতিদিন রাতের ইবাদত করা মুসলমানদের আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে, আত্মার প্রশান্তি দেয়, এবং মানুষকে আল্লাহর স্মরণে উদ্বুদ্ধ করে। তারাবিহ নামাজে কোরআন তিলাওয়াত এবং দীর্ঘ দোয়া করার মাধ্যমে একজন মুসলিম তার জীবনের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন করতে পারে। এছাড়াও লাইলাতুল কদরের রাতে এই নামাজের মাধ্যমে হাজার মাসের সমতুল্য সওয়াব অর্জন সম্ভব।

রমজান মাসের শেষের দিকে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। এটি মুসলমানদের জন্য আনন্দের দিন, যখন তারা রোজা শেষ করে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে, এবং একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে উদযাপন করে। ঈদুল ফিতরে সদয় আচরণ, দান-খয়রাত, এবং সামাজিক সমবায়ের মাধ্যমে মুসলিম সমাজে একতার প্রতীক প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মাসের শেষ দিনে নতুন প্রাপ্ত সওয়াব, আত্মশুদ্ধি, এবং নৈতিক উন্নতি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।

সারসংক্ষেপে, রমজান মাস কেবল খাদ্য বা পানির উপবাসের জন্য নয়, বরং এটি আত্মসংযম, নৈতিক উন্নতি, আধ্যাত্মিক প্রশান্তি, সামাজিক দায়িত্ব এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস। এই মাসে প্রতিদিনের ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, দান-খয়রাত, সেহরি-ইফতার পালন, তারাবিহ নামাজ এবং লাইলাতুল কদরের বিশেষ রাতগুলো মুসলিমদের জীবনে অমুল্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। তাই এই মাসকে যথাযথভাবে পালন করে মুসলমানরা আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অনন্য সুযোগ পায়। রমজান মাসের প্রতিটি দিন ও রাতকে পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহার করা মানে শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব পালন নয়, বরং নৈতিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে জীবনের উন্নতি সাধন। অতএব, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এক অনন্য উপহার, যা তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক পথ প্রদর্শন করে, তাদের মন ও আত্মাকে উন্নত করে এবং আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করে।

Keywords: 
রমজান ১৪৪৭ হিজরী
রমজান ২০২৬ বাংলাদেশ
রমজান ক্যালেন্ডার ২০২৬
রমজান সেহরি ইফতার সময়
ঢাকা রমজান সময়সূচি
রমজান সময়সূচি বাংলাদেশ
ইসলামী ফাউন্ডেশন রমজান সময়
রমজান সেহরি শেষ সময়
রমজান ইফতার সময়

 

No comments

Powered by Blogger.
.